জুলাই ৫, ২০২১
শ্যামনগরে প্যারাসিটামল গ্রæপের সকল ঔষধ উধাও: বেশি দামে বিক্রি
জি এম মাছুম বিল্লাহ: শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন বাজার থেকে হঠাৎ প্যারসিটামল গ্রæপের সকল ওষুধ উধাও হয়ে গেছে। সাধারণ জ্বর নিরাময়কারী ওষুধ প্যারাসিটামল গ্রæপের বিভিন্ন ওষুধ। ওষুধের দোকানদারদের দাবি নাপা, নাপা এক্সট্রা, এক্সটেন্ড ও সিরাপ গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই চাহিদা অনুযায়ী ঠান্ডা, জ্বরের ওষুধ নাপা বা এ জাতীয় কোন ওষুধ চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলায় করোনার অত্যধিক প্রকোপে সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধের চাহিদাও বেড়েছে ব্যাপক হারে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহর ও গ্রামের মানুষ ঠান্ডা-গরম লাগার কারণে ঘরে ঘরে জ্বর, খুসখুসে কাঁশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে জ্বরের জন্য নাপা, ঠান্ডা-গরম লাগলে ফেকসো খেতে বলছেন। অথচ বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ফেকসো ওষুধ পাওয়া গেলেও বেক্সিমকো কোম্পানির নাপা বা এ ধরনের কোন ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। দূরদুরান্তের মানুষ ওষুধ কিনতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। ওষুধ না পাওয়ায় তাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। আল্লাহ দান ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী জানান, অনেক পরিবারে সবাই ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত। তা ছাড়াও করোনার ভয়ে অনেকে নিয়মিত ওষুধ কিনে রাখছেন। সকলে পাতা আকারে কিনছেন। মিলছেনা জ্বরের আরেক ওষুধ রিসেটও।রাশেদুল নামে এক ক্রেতা জানান ,কয়েক দিন ধরে জ্বর ও নাক দিয়ে পানি পড়ছে তাই প্যারাসিটামল নিকে এসেছিলাম। কোন ফার্মেসিতে পাইনি। বাদল নামে আরেক ক্রেতা বলেন দুর্যোগময় সময়ে যদি ওষুধ পাওয়া না যায় তাহলে কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই না। এ বিষয়ে বেক্সিমকো কোম্পানির খুলনা রিজোনের মার্কেটিং অফিসার আজিজুল হক বলেন, বর্তমানে প্রতিটি ঘরে ঘরে সাধারণ সর্দি-কাশি জ্বর লেগেই আছে যার কারণেই নাপা জাতীয় ঔষধ এর চাহিদা বেড়েছে। আমরা এই সপ্তাহে প্রতিটি দোকানে এক বক্স করে নাপা দিয়েছি আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি আবার স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছি। সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে কিছু কিছু দোকানে নাপার ঔষধ থাকলেও তা চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। অসাধু ফার্মেসি মালিকরা যাতে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করতে না পারে সে ব্যাপারে সাতক্ষীরা ড্রাগ সুপারসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাধারণ মানুষ। 8,637,416 total views, 2,415 views today |
|
|
|